গত ৯ অক্টোবর দুদকের পক্ষ থেকে চিঠিটি পাঠানোর পর ২৪ অক্টোবর এর জবাব দিয়েছে ইবি কর্তৃপক্ষ।
দুদকের দেওয়া চিঠিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসাইন আজাদ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল এবং ইতিহাস বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের উপ-পরিচালক (অনু ও তদন্ত-১) এবং যাচাই-বাচাই কমিটি-৩ এর সদস্য মোসা. মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এক মাসের মধ্যে (৯ নভেম্বর) অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পর কমিশনের কাছে এ বিষয়ক একটি লিখিত কপি পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার (স্মারক নং- ৮৯১) মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুদক ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণান্তে’ তা কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দিলেও বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার আগেই গত বুধবার (২৪ অক্টোবর) চিঠির জবাব দিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই চিঠিতে ‘বিচার প্রক্রিয়াধীন এবং বিচারের অগ্রগতির কথা’ উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্যে অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীরের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে বাণিজ্যের কথোপকথন ফাঁস হয় সংবাদমাধ্যমে। এর ভিত্তিতে গত ১৬ জুলাই অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলকে প্রশাসনিক পদ থেকে বরখাস্ত করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১ অক্টোবর ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ২৪২তম সিন্ডিকেট। তবে এখনো কারণ দর্শাননি তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা দুদকের চিঠি পেয়ে গত বুধবার (২৪ অক্টোবর) জবাবও দিয়েছে, যেখানে বিচার প্রক্রিয়াধীন এবং বিচারের অগ্রগতি জানিয়েছি। তাছড়া অভিযুক্ত শিক্ষকরা এখনো কারণ দর্শাননি। নোটিশপ্রাপ্তি থেকে কারণ দর্শানোর এখনো ৩-৪ কার্যদিবস বাকি আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
ওএইচ/এইচএ/