ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দারিদ্র্য থাকবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দারিদ্র্য থাকবে না’ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা

ঢাকা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন আলোচকরা। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শও তাদের।

শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার।

 

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে নবম বিসিএস ফোরাম ও জাইকার উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্যোগ যতই ভয়ংকর হোক আমরা ভয় পাই না। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশল জানা আছে। কার্বন নিঃসরণ সবচেয়ে বেশি জিব্রাল্টায়। উন্নয়নের সাথে কার্বন নিঃসরণের সম্পর্ক আছে।  

আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, গত দশ বছরে ১০০টি নতুন বিদুৎকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ সবকিছুই করতে পারবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো মনোবল নিয়ে কাজ করবো, তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।

প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ১০০ বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা। এই পরিকল্পনা সর্বব্যাপী। নদী ও প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখাসহ সবকিছুই আছে পরিকল্পনায়। এটি জ্ঞান ভিত্তিক একটি পরিকল্পনা। এটি বাস্তবায়ন হলে ২০২৭ সালে দেশে দরিদ্র থাকবে না। জিডিপি ১.৭ শতাংশ বাড়বে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। এই পরিকল্পনার অর্থ বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে, এটা আসলেই মিরাকল।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রযুক্তির ওপর জোর দিতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনকে নাড়া দিতে না পারলে কিছুই হবে না। তাদের কাছে টাকা চাইলে এক কলমেই কেটে দেয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে প্রচুর টাকা না দিলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাঙালির মুক্তির সনদ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলায় এটি একটি সমন্বিত পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন নদীর ৩ হাজার ১৭৪ কিলোমিটার খনন করা হবে। এর ফলে ১৮ হাজার নৌপথ সৃষ্টি হবে।  

জাইকার কান্ট্রি চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ হিতোশি হিরাতা বলেন, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা একটি ঐতিহাসিক পরিকল্পনা। এটি জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

নবম বিসিএস ফোরামের সভাপতি মো. তফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে
বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বিষয়ক কি-নোট উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের যুগ্ম প্রধান মফিদুল ইসলাম এবং দুর্যোগ হ্রাস করে অভিঘাত সহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ে তোলা বিষয়ক কি-নোট উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসীন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
টিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।