ভোরে চারদিকে শিশির দলায় ভিজছে গাছপালার কচি ডগা ও সবুজ পাতা। আলো ফুটতেই ধানের সবুজ ডগার উপর অবস্থান নেওয়া শিশির বিন্দুগুলো চিকচিক করছে।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে হিমালয় পর্বত সংলগ্ন সর্ব উত্তরের জেলা দিনাজপুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এবার নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শীত পড়তে শুরু করবে। সকালে সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
নিম্নচাপের কারণে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে। এর প্রভাবে ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। দিন পেড়িয়ে রাত গভীর হতেই কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে মিলছে শীতের আভাস। ভোরে থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় মাঠ।
তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসায় পুরাতন কাপড়ের পসরা সাজাতে শুরু করেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নভেম্বর মাসে দেশে হাড় কাঁপানো শীত পড়ে না। এর কারণ হচ্ছে, সূর্য যতো দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে যাবে শীতের তীব্রতা ততটাই বাড়বে। দিনের ব্যাপ্তি কম আসায় সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকেই শীত পড়তে শুরু করে। তবে, তাপমাত্রা কমে আসায় ভোরে হালকা শীত ও কুয়াশা পড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
ওএইচ/