ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আব্দুল হকের চিন্তা কাল থেকে কালান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
আব্দুল হকের চিন্তা কাল থেকে কালান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে   সেমিনারে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: চিন্তাবিদ আব্দুল হক ছিলেন নানামুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি সাংবাদিকতা করেছেন, কবিতা লিখেছেন, সাহিত্যও রচনা করেছেন। তিনি ছিলেন দেশের সম্পদ। সুন্দর চিন্তার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যে তার চিন্তা ও কর্ম কাল থেকে কালান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। 

শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে চিন্তাবিদ আবদুল হকের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।  

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরম হোসেন।

আর দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন চিন্তাবিদ আবদুল হকের আত্মজ প্রকৌশলী আজিজুল হকও।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারের আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।  

এতে ‘আবদুল হকের চিন্তাচর্চা: কাল থেকে কালান্তরে’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবদুল হক-জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব হোসেন (মাহবুব বোরহান)।  

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সেরা চিন্তাবিদ ও প্রবন্ধকারদের একজন আবদুল হক। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার পক্ষে সাহসী ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে তিনি বিশ শতকের ষাটের দশকে ‘কলমসৈনিক’ উপাধি লাভ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি উপস্থাপনে তার রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান।  তার নানামুখী প্রতিভা দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি তাকে খুব ভালোবাসতেন।  

তারা বলেন, চিন্তাবিদ আবদুল হকের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিকে নাটোরের বনলতা সেনের মতো ভালোবাসতে হবে। তাদের আদর্শকে ধারণ করতে হবে। তিনি ছিলেন সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ বুদ্ধিজীবী। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, নৃতত্ত্ব তথা সামগ্রিক জাতীয় পরিচয় যে পাকিস্তানিদের চেয়ে ভিন্ন, সে কথা তিনি তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাককানবির বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিন। সেমিনারে সঞ্চালনা করেন আবদুল হক-জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক আহমেদুল বারী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮ 
এমএএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।