তার অভিযোগ, হলফনামায় ঋণ ও সম্পত্তির তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ণপত্র অবৈধ ও বাতিলযোগ্য। কিন্তু তাকে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী এ দাবি জানান।
ঠাকুরগাঁও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তাহমিনা বলেন, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকে অংশ নিই। কিন্তু কালো টাকার দৌরাত্ম, নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদাসিনতায় আমি পরাজিত হই।
‘বিজয়ী প্রার্থী মির্জা ফয়সাল একজন চিহ্নিত ঋণ খেলাপি। সে অনুযায়ী, মনোনয়ণপত্র যাচাইকালে আমি আপত্তি জানালেও রিটার্নিং অফিসার স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে সাক্ষী রেখে বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী নেই। তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। ’
তাহমিনা মোল্লা বলেন, তথ্য গোপন করায় ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করি। আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করা হয়নি। হাইকোর্টে ৫৭৮/২০১৭ রিট পিটিশন দাখিল করি। এরপর হাইকোর্ট মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। কিন্তু নিম্ন আদালত উচ্চ আদালতের কথা রাখছে না। মির্জা ফয়সাল দুইবার আপিল করে হেরে যান। এরপর নিম্ন আদালত নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
ইএআর/এমএ