শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে সহযোগিতা করেন নোয়াখালী বিআরটিএ ও সুধারাম থানা পুলিশ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান বাংলানিউজকে জানান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, ২৫ অক্টোবর রাত থেকে বাস কাউন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ফেসবুক ও মোবাইলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোয়াখালীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে দিনভর ছদ্মবেশে অভিযান চালানো হয়। জেলার অধিকাংশ বাস কাউন্টারগুলো নির্ধারিত দামে টিকিট বিক্রি করলেও মাইজদী বাজার হিমাচল কাউন্টারে বেশি দামে টিকেট বিক্রি করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে হিমাচল কাউন্টার কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বেশি দামে বিক্রি করা টিকেটের অতিরিক্ত টাকা ক্রেতাদের ফেরত দেওয়া হয়।
এদিকে, সদর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজার এলাকায় আয়শা মেডিকেল হলে অভিযান চালানো হয়। মেডিকেল হলটিতে ডেন্টাল ডাক্তারের চেম্বার খোলা হয়েছে যা অপরিছন্ন ও সেবার অনুপযুক্ত এবং ডাক্তারের কোন লাইসেন্স নেই। তিনি কোন সার্জনও না অথচ তার চেম্বার ফি ২০০ টাকা। এ মেডিকেল হলের সামনের অংশে থাকা ফার্মেসিতে তল্লাশি করে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, মূল্য টেম্পারিং, মিস ব্যান্ডেড ওষুধ পাওয়ায় ১৫ হাজার জরিমানা ও সার্জারি রুমসহ মেডিকেল চেম্বারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এনটি