ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রাজনৈতিক কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষতি করা ঠিক নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
‘রাজনৈতিক কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষতি করা ঠিক নয়’

ঢাকা (সাভার): গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি অংশের মালিকানা দাবি করে সেখানে কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানার টাঙিয়ে ভাঙচুর-লুটপাটের সমালোচনা করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। যে যাই বলুক, রাজনৈতিক কারণে এই মহান প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্থ করা মোটেও ঠিক নয়। 

শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থল ও ভাঙচুরকালে আহত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমন হোসেনকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন।  

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সকালে সাভারের মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১৫ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত পিএইচএ ভবনের মালিকানা দাবি করে কটন টেক্সটাইলের ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় বহিরাগতরা।

সেসময় হামলা চালিয়ে পিএইচএ ভবনের বিভিন্ন কক্ষে থাকা কম্পিউটার, টিভি, মনিটর, রাউটার, মাইক্রোফোন ও জানালার কাচও ভেঙে ফেলে।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হামলার সময় বহিরাগত বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেলেও আক্রমণ চালায়। এতে আহত হন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। ভাঙচুর-মারধরে বাধা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লিমন হোসেনকে বেধড়ক পিটিয়ে তার ডান হাতও ভেঙে দেয় বহিরাগতরা।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করে আমি খুবই মর্মাহত। এখানে মেয়েদের যে আকুতি শুনলাম, স্বাধীন দেশে মেয়েরা এমন অসহায় হবে এটা ভাবা যায় না। এখানে যদি কোনো বিরোধ থেকে থাকে, সেটি শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতো। অন্যের জায়গাতেও যদি কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়, সেটি সামাজিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সরাতে হবে, গায়ের জোরে নয়।  

বঙ্গবীর নিজের অস্তিত্ব বিক্রি করে জীবন চালাননি উল্লেখ করে বলেন, আমার কোনো দিন মন্ত্রিত্বের দরকার হয়নি। মন্ত্রিত্বের দরকার হলে সাতবার মন্ত্রী হতে পারতাম। সেটা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও হতে পারতাম, জিয়াউর রহমানের সঙ্গেও হতে পারতাম এবং শেখ হাসিনার সঙ্গেও হতে পারতাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করবো যে, আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, অথচ মেয়েরা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, কথা বলতে পারে না, তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারামেডিক শিক্ষার্থী ওয়াসমা ফারিহা মাহি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছে অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের সঙ্গে অনেক বড় বড় দা ছিলো, তারা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে।  

জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, একটা মারাত্মক অন্যায় হয়েছে বলেই আমি আজকে এখানে এসেছি। এটা যদি সরকারিভাবে হয়ে থাকে, আওয়ামী লীগের হয়ে থাকে, বিএনপির হয়ে থাকে, সেটা আমি দেখবো।

এর আগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে গিয়ে আহত লিমনসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।  

এসময় তার সঙ্গে ডা. নাজিম উদ্দিনসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।