ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে চায়

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে চায় লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে। সে কারণে পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে নিয়ে এদেশ থেকেই শিক্ষা নিতে চায়।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে ‘বাণিজ্যে নারীর সম অধিকার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে উইমেন এন্ট্রাপ্রিনিওয়ার্স নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েন্ড)।

নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো ব্যবসায় নারীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ সভার  আয়োজন করে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী। এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়েন্ড এর প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অর্ধেক জনসংখ্যা নারীকে পেছনে রাখার সুযোগ নেই। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অনেক অবদান রয়েছে। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এসডিজি অর্জন করবে। এর আগে বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করে পুরস্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। বাংলাদেশ থেকে এখন পাকিস্তান শিক্ষা নিতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়ন নয় সম অধিকার প্রতিষ্ঠায়ও রোল মডেল। সব ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করে দেওয়ায় ছোট থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায় নারীরা এগিয়ে আসছে, সাফল্য আসছে। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও যেকোন প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার সব সময় আন্তরিক।  

সভায় সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি যেকোন দেশের চেয়ে অনেক ভালো। সরকার যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে তা অর্জন করতে হলে নারী-পুরুষের সমতা প্রয়োজন।

ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, আমরা চাই এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে নারীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক। নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ওয়েন্ড সে লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যবসায় নারীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার কাজ করা উচিত।

সভায় বক্তারা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন দেশ উন্নয়নের চূড়ায় যেতে পারে না। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারীর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সেজন্য নারী উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে বাধা দূর ও সচেতনতা তৈরির পরামর্শ  দেন  তারা।

বাংলাদশে সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
টিআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।