ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারে বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
কক্সবাজারে বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন সিভিএম কম্পোস্ট প্লান্ট প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি জৈব সার উৎপাদনে রামুর মিঠাছড়ি এলাকায় দেড় একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ‘সিভিএম কম্পোস্ট প্লান্ট’। 

শনিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে ‘সিভিএম কম্পোস্ট প্লান্ট প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার শহরে ছোট-বড় ১০টি বাজার, কয়েকশ রেস্টুরেন্ট, ভ্রমণে আসা বিপুল সংখ্যক পর্যটক এবং পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরে ছয় শতাধিক বহুতল ভবনে বসবাসকারী প্রায় তিন লাখ মানুষের রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ট থেকে প্রতিদিন অন্তত ৮০ টন বর্জ্য জমা হয়। বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় শহরটি দিন দিন অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছিলো। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পর্যটনে। সেই বর্জ্য থেকেই এখন প্রতি দুইমাসে উৎপাদন করা হবে ৩ টন জৈব সার। আর এ সার স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা হবে স্থানীয় কৃষকদের।  

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বাংলানিউজকে জানান, কক্সবাজার শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষে এ প্রকল্পের আওতায় শহরের প্রায় হোটেল ও বাজারে হলুদ এবং সবুজ রঙের দুটি ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এখনো ডাস্টবিন দেওয়ার কাজ চলছে। হলুদ ডাস্টবিনে অপচনশীল আর সবুজ ডাস্টবিনে পচনশীল বর্জ্য ফেলা হবে। ডাস্টবিনের এসব বর্জ্য প্রতিদিন গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে ডাম্পিং স্টেশনে।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় পর্যটন এলাকা কক্সবাজার শহর ময়লা-আবর্জনাহীন পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করা হবে। অন্যদিকে স্থানীয় কৃষকরা স্বল্পমূল্যে পাবেন উন্নতমানের জৈব সার।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।