সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে সারাদেশের মতো খুলনাতেও পালিত হচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ‘কর্মবিরতি’। রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার এ ‘কর্মবিরতি’ পালন করা হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ কর্মবিরতির পক্ষে খুলনায় কোথাও কোন পরিবহন শ্রমিককে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অন্যান্য পরিবহন শ্রমিক নেতাদেরও কোন দেখা মিলছে না।
খুলনা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা বাংলানিউজকে জানান, এ ধর্মঘট ঢাকা থেকে ডাকা হয়েছে। আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।
গ্রীনলাইন পরিবহনের রয়্যাল কাউন্টারের বুকিং সহকারী জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে কোন গাড়ি চলছে না। যারা ধর্মঘটের সময়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আগাম টিকিট কেটেছিলেন তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালসহ শিববাড়ির মোড় ও রয়্যাল মোড় থেকে দূরপাল্লার কোন বাস চলাচল করছে না। প্রায় সব কাউন্টার বন্ধ। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল এবং বিভিন্ন পরিবহন ব্যবহার করে যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছেন। এর জন্য তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব বাংলানিউজকে বলেন, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন যে ধর্মঘট পালন করছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বেআইনী। ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার দায় তাদের।
কুয়েটে ভর্তিচ্ছু আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শনিবার কুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আজ ঢাকার বাসায় ফেরার কথা। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসে দেখি বাস বন্ধ। এখন কিভাবে যাবো তাই ভাবছি।
গ্রাম থেকে আসা অনেক যাত্রী জানান, হঠাৎ পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। না জেনে বাস টার্মিনালে এসে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এমআরএম/এএইচ