ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১২৯ জেলের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১২৯ জেলের কারাদণ্ড দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা

চাঁদপুর: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা-মেঘনায় ‘মা’ ইলিশ শিকার করার দায়ে ১২৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২১ দিন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলা টাস্কফোর্স ১৪১ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

একই সময়ে এক হাজার ৮১৯টি বাজার, আড়ত ও মাছঘাট পরিদর্শন করা হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে নদীতে অভিযানের সময় জেলেদের কাছ থেকে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার মিটার করেন্ট ও অন্যান্য জাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২৬২ মেট্টিক টন মা ইলিশ ও ৪১টি মাছ ধরার নৌকা। এসব ঘটনায় ১৪৪টি মামলাসহ ১৫ জেলেকে ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, ১২৯ জেলের মধ্যে ১০৭ জনকে এক বছর, ১২ জনকে এক মাস, তিন জনকে ১৫ দিন, সাত জনকে ১০ দিন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জব্দ হওয়া জাল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং নৌকাগুলো নৌ-পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আবার কিছু নৌকা তাৎক্ষণিক নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জব্দ হওয়া মা ইলিশ জেলা প্রশাসন হিমাগারে সংরক্ষণ রেখেছেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর (রোববার) পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ প্রজনন রক্ষায় জেলার মতলব উত্তর থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।