সরেজমিনে দেখা যায়, যে যেখানে যেভাবে পারছেন যাত্রী নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। যাত্রীদের জিম্মি করে ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন বেশি ভাড়া আদায় করছেন অটোরিকশা চালকরা।
নির্মাণ শ্রমিক ছাইদুল জানান, গণপরিহন না থাকায় পায়ে হেটে কর্মস্থলে যাচ্ছি। কারণ অটোরিকশায় ৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা এবং ১০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব রিকশার কারণে আবার রাস্তায় হেটেও শান্তি পাচ্ছিনা। এদিক থেকে একটা আসছে তো ওদিক থেকে আরেকটা, কখন যে গায়ের ওপর উঠে পড়ে।
এদিকে দিনের শুরুতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েন কর্মস্থলগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু লেগুনা এবং লোকাল বাস যাত্রীদের চাপে পড়ে চলাচলের চেষ্টা করলেও পরিবহন শ্রমিকরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে সেগুলো আটকে দেয়। কিছু কিছু জায়গায় ভাংচুর করা হয় চলাচল করা পরিবহন।
জানা যায়, সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর, সাভার, নবীনগর স্মৃতিসৌধ এলাকা, এবং নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইলসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মবিরতি পালনের জন্য অবস্থান নেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তারা রিক্সা ও মোটরসাইকেল ছাড়া সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন বলেন, সকালে কিছু অটোরিকশা এবং ইজিবাইক যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে মহাসড়কের উঠে এলেও বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে মহাসড়কে চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ এসব যানবাহন আটকে দিচ্ছে। তবে রোগী নিয়ে আসা ইজিবাইক ও অটোরিকশাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এএইচ /