এ বিষয়ে রোববার (২৮ অক্টোবর) সেতু ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মুহূর্তে সড়ক পরিবহন আইন পরিবর্তন করে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বলতে চাই, ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো লাভ নেই।
কাদের বলেন, এই মুহূর্তে আইন পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে পরিবর্তন করতে তো পারবো না। পরবর্তী পার্লামেন্ট পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, তাদের অপেক্ষা করতে হবে। এর মধ্যে কোনো ন্যায়সঙ্গত বিষয় থাকলে পরে আলোচনার মাধ্যমে বিবেচনা করা হবে।
পরিবহন শ্রমিকদের ৮ দফা দাবিগুলো হল- সড়ক দুর্ঘটনার সব মামলা জামিনযোগ্য করা, দুর্ঘটনায় চালকের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল, চালকের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণির পরিবর্তে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত করা, ৩০২ ধারার মামলার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, ওয়ে স্কেলে জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল এবং গাড়ি নিবন্ধনের সময় শ্রমিক ফেডারেশন প্রতিনিধির প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করা।
ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে যা বললেন কাদের
সেতু ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন নিয়ে যে সাত দফা দাবি তুলেছেন, সেটাও এই মুহূর্তে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
‘ঐক্যফ্রন্ট হা-হুতাশ করছে, অপজিশন তো একটু ক্রিটিক্যাল হবেই। অপজিশনের কাজই হলো ক্রিটিসাইজ করা। তারা সাত দফা দাবি দিয়েছে। এই মুহূর্তে সাত দফা মেনে নিতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না।
‘কাজেই এ দাবির ব্যাপারে তারা যদি স্ট্রাইক করেন, অনড় থাকেন, তাহলে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি হতে পারে। ’
দেশে এখন ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ’ বিরাজ করছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেটা তাদের দরকার একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এসএইচ