ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অভিজ্ঞতাটা খুব তিক্ত’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
‘অভিজ্ঞতাটা খুব তিক্ত’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ব্যহত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতাটা খুব তিক্ত।’

রোববার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ডেস্টিনেশন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এখন ক্ষমতায় আছি।

আগামীতে নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষ যদি ভোট দেয় তাহলে আমাদের লক্ষ্যগুলো পূরণ ও কাজগুলো করতে পারবো।

তিনি বলেন, আর যদি না দেয়, হ্যাঁ সবসময় প্রচেষ্টা থাকবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তারপরে কি হবে সেটা বলতে পারি না। কারণ আমাদের অতিত অভিজ্ঞতাটা খুব তিক্ত।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ পিছিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য, যখন সাত বছর পরে আবার সরকার গঠন করলাম তখন দেখলাম সবকিছু আবার পিছিয়ে গেছে।  

অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান প্রাইজ ওয়াটার হাউজ কুপারস বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করছে।

তিনি বলেন, তাদের পূর্বাভাস ঠিক হলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম বড় অর্থনীতির দেশ। আর ২০৫০ সালের মধ্যে নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো দেশকে অতিক্রম করে বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি নতুন রফতানি বাজার খোঁজার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি পণ্যটা বহুমুখীকরণ করা এবং কতটা ভিন্নতা আনতে পারেন সেই চিন্তাটা করুন। আর বিশ্বের চাহিদাটা কি? শুধু একটা দুটো দেশের দিকে তাকিয়ে না থেকে আমাদের সবদিকেই দেখতে হবে। কোন দেশে কী চাহিদা আছে আর বাংলাদেশ কী যোগান দিতে পারে।

রফতানি আয় ভবিষ্যতে আরও বাড়বে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যা যা করণীয় আমরা তা করবো।

বর্তমান সরকারের সময় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রফতানি-বিনিয়োগ বাড়ানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করাসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের যখনই যে সমস্যা নিয়ে এসেছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

শেখ হাসিনা তার সরকারের সময়ে উন্নয়নের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এমইউএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।