এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ‘জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্পের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হুদা এক মাস আগে তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
জানা যায়, কালিয়ার ডহর চাঁচুড়ী গ্রামের হামিদ গাজীর ছেলে কানাই গাজী ও তার ভাতিজা আলমগীর গাজী ৫৫ জন হতদরিদ্রের কাছ থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ইউএনও নাজমুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগটি শোনার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তার সঙ্গে আলাপ করে দেখি তিনি কি করেছেন।
তবে কালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইউএনও স্যার এ ব্যাপারে আমাকে বললে আমি স্যারকে বলেছিলাম, স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব (অভিযোগের তদন্ত) দেওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে নড়াইলের নবাগত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গৃহহীনদের জন্য এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। প্রত্যেক গৃহহীন যাতে বাড়ি পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হচ্ছে। আর কালিয়ায় গৃহহীনদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এদিকে অভিযুক্ত কানাই গাজী ও তার ভাতিজা আলমগীর গাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, নড়াইল জেলায় এ পর্যন্ত ৩৯২ জন গৃহহীনকে একটি করে বাড়ি নির্মাণ করে তা হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ১৩৫ জনের জন্য বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া জেলায় নতুন করে ১ হাজার ৮৭৫ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এনটি