রোববার (২৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চান্দগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুটি বড়লেখা সদর ইউনিয়নের আজমির গ্রামের কুটন মিয়ার মেয়ে।
শিশুটির চাচা আকবর আলী বলেন, সাত দিন আগে শিশুটির জন্ম হয়। শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাত থেকে সে মায়ের দুধ পান করছিল না। সকালে আমরা তাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দেখে দেরি না করে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন>>
** পরিবহন ধর্মঘটে মুমূর্ষু রোগীদেরও পথে পথে বাধা
‘চিকিৎসকের কথা মতো আমরা শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেই। কিন্তু পথে পথে পরিবহন শ্রমিকরা থামিয়ে নানাভাবে হয়রানি করেছে। প্রথমে বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজারে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয় তারা। বেশ কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেয়। একইভাবে দাসেরবাজার এলাকায়ও অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে চান্দগ্রাম বাজারে গেলেও আবারও গাড়িটি আটকে দেয় শ্রমিকরা। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে তারা মারধরও করতে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানেই শিশুটির মৃত্যু হয়। ’
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বলেন, এ ব্যাপারে কেউ এখনও কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
আরএ/