মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টেবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশের মত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরা, বিপনন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের করায় ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৪১টি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যাতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য ভোলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মৎস্যবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, র্যাব ও পুলিশের টিম নদীতে অভিযান চালায়। গত ২২ দিনে ৩১৩টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানের মুখে অনেক জেলেই নদীতে নামতে পারেনি। যে কারণে ৬০/৭০ ভাগ ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে পেরেছে।
এদিকে, ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নতুন করে নদীতে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। রোববার (২৮ অক্টোবর) রাত ১২ পর থেকেই জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ ইলিশ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামবে জেলেরা।
জেলা সদরের কয়েকটি মাছ ঘাট ঘুরে জেলেদের সঙ্গে কথা জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও জেলে পুনঃবাসনের চাল জোটেনি অনেকের ভাগ্যে। এতে অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে জেলেদের।
তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, নিবন্ধনকৃত সব জেলের নামে চাল বরাদ্দ না আসায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ এ বছরে ৮৮ হাজার ১১১ জন জেলের নামে চাল এসেছে। চাল বিতরণের কাজ শেষের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এনটি