রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে প্রদর্শনীটির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসুমণির পাঠশালা ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ আয়োজনে গত ১২ অক্টোবর নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের আঁকা প্রধানমন্ত্রীর ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৭১টি আঁকা প্রতিকৃতি ও জামালপুরের ১০১টি সুচিশিল্প নিয়ে এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছিল।
প্রদর্শনীর শেষ সময় ১৮ অক্টোবর থাকলেও দর্শকদের আগ্রহের জন্য দুই দফায় এর সময় বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক জামাল আহমেদ ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জামালপুরের তৃণমূলের যেসব নারীরা সুচিশিল্পের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তুলে ধরেছেন তা অকল্পনীয়। তাদের হৃদয়ের কত গভীরে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং শেখ হাসিনার অবস্থান তা এ শিল্পকর্মগুলো দেখলে অনুধাবন করা যায়।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে যে ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য ড. কামাল করেছেন তার শাস্তি হওয়া উচিত। তাকে আইনিভাবে এবং অন্যান্য সব উপায়ে মোকাবেলার প্রস্তুতি রাখতে হবে।
এ জন্মোৎসব আয়োজন নিয়ে হাসুমণির পাঠশালা’র সভাপতি মারুফা আক্তার পপি জানান, ‘হাসুমণি’ শব্দটা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রতীকী শব্দ। বঙ্গবন্ধু তার বড় মেয়ে শেখ হাসিনাকে আদর করে ‘হাসুমণি’ বলে ডাকতেন। যেমনটি বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি বাবা-মা তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানকে আদর করে সোনামণি বা যাদুমণি বলে ডাকেন। শেখ হাসিনার জন্মদিনের এ আয়োজনে ৭১টি প্রতিকৃতি প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন কর্মশালা এবং ৭১ ফুট ক্যানভাসে খুদে শিল্পীরা আঁকছে ওদের স্বপ্নের সোনার বাংলা ‘হাসুমণির বাংলাদেশ’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ