রোববার (২৮ অক্টোবর) ডিপিডিসির তেজগাঁও নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস (এনওসিএস) দফতরে এ অভিযান চালানো হয়।
দুদক সূত্র বলছে, অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন ১০৬) ডিপিডিসির গ্রাহক হয়রানি, সংযোগ প্রদানে গড়িমসিসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা জানানো হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক (গণমাধ্যম) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে জানান, অভিযানে ডিপিডিসির বিভিন্ন অনিয়মের সন্ধান পায় দুদক। সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা সত্ত্বেও ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ তা আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসার মডস জোন-৫ এর ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এফডিসির ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং গণপূর্ত বিভাগের সোয়া ৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। গ্রাহক সেবা বিষয়েও ডিপিডিসির বেশ গাফিলতির আলামত পেয়েছে দুদক।
ডিপিডিসির কাস্টমার সার্ভিস দফতরে আসা একজন সেবা প্রার্থী দক্ষিণ মহাখালীর শামীম জানান, তার প্রি-পেইড কার্ডটি মিটারে আটকে যায়। এখন তিনি সেটি ফেরত নিতে চাইলে ডিপিডিসির কর্মচারীরা তার কাছে ১ হাজার টাকা দাবি করেন। এছাড়া গত মাসে ৫২ জন গ্রাহক নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু ৩১ জন গ্রাহকের সংযোগ স্থাপন করা হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে বিলম্ব করা হচ্ছে।
দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের লক্ষ্যে দুদক সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারিমূলক অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান শেষে ডিপিডিসিসহ যে কোনো রাষ্ট্রীয় সেবা পেতে দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬-এ ডায়াল করতে উপস্থিত সেবাপ্রার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
আরএম/এমএ