রোববার (২৮ অক্টোবর) রাজশাহীর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করেন।
সিরাজগঞ্জ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাকে সভাপতি করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার উদ্দিন তসলিম।
রোববার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এতথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. কাজী শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এই তদন্ত কমিটির বিষয়টি জানানো হয়। কমিটিকে আগামী তিন
কর্মদিবসের মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে ৫ সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদুল ইসলাম।
ওই কমিটির প্রধান করা হয় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ওসমান গনি শামীমকে।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের বেড ও চাদরসহ অজ্ঞাতপরিচয় দুই নারী রোগীকে শহর রক্ষা বাঁধের ওপর কে বা কারা ফেলে রেখে যায়। ওই দুই রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ৫০ আর আরেকজনের ৩০। একজনের একটি পায়ে পচন ধরেছে। মানসিক ভারসাম্যহীন দুই রোগী ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। সাংবাদিকদের তৎপড়তায় ওইদিন রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
আরএ