একই মামলায় হারুনের সহোদর গোলাম মোস্তফাকে (৪৫) ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের (শিশু আদালত) বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর আসামি দণ্ডপ্রাপ্তদের বাবা আব্দুল কুদ্দুস, স্বজন আব্দুল ওকিল, জাহাঙ্গীর হোসেন ও শিশু রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনুর রশিদ ও গোলাম মোস্তফা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তারা উভয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩০ মে রাত ৮টায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারে প্রতিবেশী হারুন, মোস্তফা গংরা আব্দুস সুবহানের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হারুন ও তার সহোদর মোস্তফা উপর্যুপরি তাকে ছুরিকাঘাত করেন এবং অন্য আসামিরা হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। একপর্যায়ে বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুস সোবহানকে উদ্ধার করে স্বজনরা ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মামুন রশিদ বাদী হয়ে পরদিন কানাইঘাট থানায় মামলা (নং-২৪(৫)১১) দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি কানাইঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সম্রাজ মিয়া ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১২ জুলাই চার্জগঠনের মাধ্যমে আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
আদালতের পিপি নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে ২৬ জন সাক্ষির সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক ৩০২ ধারায় হারুনুর রশিদের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং তার সহোদর গোলাম মোস্তফাকে প্যানেল কোড ৩২৪ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং শিশু রাসেলসহ অন্য চারজনকে খালাস দেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার ও আব্দুল মওদুদ এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আইনজীবী ছিলেন আসমা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এনইউ/আরএ