রোববার (২৮ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দুর্গম ইটালী ইউনিয়নের কুমগ্রাম ব্রিজ এলাকা থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) নিখোঁজ হয় শিশু জুয়েল।
নিহত জুয়েল সরকার কুমগ্রামের মুক্তার সরকারের ছেলে ও কুমগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, জুয়েল শুক্রবার বিকেলে খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যার দিকে তার বড় ভাই বাজারে যাওয়ার পথে কুমগ্রাম-ইটালি সড়কে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। ফেরার পথে তাকে সড়কে দেখতে না পেয়ে বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে সেখানেও পাওয়া যায়নি। আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় শনিবার (২৭ অক্টোবর) সিংড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন তার বাবা মুক্তার হোসেন। রোববার দিনগত রাতে স্থানীয়রা জুয়েলের গলাকাটা মরদেহটি কুমগ্রাম ব্রিজ এলাকায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এএটি