ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীজুড়ে কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
রাজধানীজুড়ে কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি গণপরিবহন সংকটে মানুষের ভোগান্তি

ঢাকা: পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার পরও কোনো ধরনের যানবাহন না মেলায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

কেউ কেউ রিকশা অথবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারে তিন-চারগুণ বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড ও নতুন বাজার এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

কুড়িল চৌরাস্তায় দেড়ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে যানবাহন পাননি আসাদুল ইসলাম। বাংলানিউজকে তিনি জানান, মিরপুর যাব। দেড়ঘণ্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়্ আছি, একটা বাসেরও দেখা নাই। আশপাশে কোথাও হলে পায়ে হেঁটে কিংবা রিকশায় চড়েই যেতাম।

বেলা ৯টার দিকে নতুন বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শত শত মানুষ রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে অনেকেই রিকশা বা ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে গন্তব্যে গেলেও অধিকাংশ মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।  

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, যাদের সার্মথ্য আছে তারা রিকশা অথবা মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আমরা যারা গণপরিবহনে যাতায়াত করি। তাদের আজ অফিসে পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনা নাই!

নতুনবাজার থেকে রামপুরাগামী রিকশাযাত্রী আলতাফ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে চার-পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে চালকরা।

মিরপুর থেকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ব্যবহার করে মোটরসাইকেলে চড়ে নিয়মিত নতুনবাজার আসেন আসলাম মিয়া। তবে রোববার ও সোমবার অ্যাপসের মাধ্যমে মোটরসাইকেল না পেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া চুক্তিতে গন্তব্যে এসেছেন তিনি।  

উবার ও পাঠাও-এর মতো রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের মোটরসাইকেল চালকরা অ্যাপস বন্ধ রেখে চুক্তিতে দুই-তিন গুণ ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছেন বলে অভিযোগ করেন আসলাম মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।