সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়।
এতে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানায় সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়াণগঞ্জ কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এক ঘণ্টার মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে সামনে থেকে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি বঙ্গবন্ধু সড়ক ঘুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে শেষ হয়।
পড়ুন>>>>কলেজছাত্রীদের গায়েও কালি মাখালো শ্রমিকরা
মানববন্ধনে সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, পরিবহন মলিক-শ্রমিকেরা নির্দিষ্ট কিছু দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। কিন্তু কর্মবিরতির নামে তারা সারাদেশে যে নৈরাজ্য শুরু করেছে আমরা এর জবাব চাই। কেন আমাদের বোনের ড্রেসে কালি ছুড়ে মারা হবে। কেন বাসের জানালা ভাঙচুর করা হবে। সাত দিনের শিশুবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ার ফলে শিশুটির মৃত্যুর দায় কে নেবে আমরা সেটা জানতে চাই।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু সাতদিনের শিশু মারা যায়, আমার বোনের উপর পোড়া মবিল ছুড়ে মারে, বাসের যাত্রীদের হেনস্তা করে- তাহলে পুলিশ কি নিরাপত্তা দিচ্ছে। আমরা কি পরিবহন সেক্টরের কাছে জিম্মি? আমরা জিম্মি না। তারা কি মানুষ মারার লাইসেন্স চাচ্ছে? আমরা তাদের এ লাইসেন্স দেবো না। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।
পড়ুন>>>>ছাত্রীদের গায়ে কালি, প্রতিবাদে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
এর আগে, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রথম দিন নারায়াণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের বহন করা বাসে ভাঙচুর চালিয়ে চালক ও ছাত্রীদের গায়ে কালি দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে।
শিক্ষার্থী ছাড়াও এদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে চালকদের গায়ে পোড়া মবিল লেপন করেন বেপরোয়া পরিবহন শ্রমিকরা। মানববন্ধন থেকে এ ঘটনারও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এএ