এমন ব্যস্ততা কাটছে উপকূলীয় উপজেলার জেলেদের মধ্যে। ২২ দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও উপকূলের জেলেরা ইলিশ শিকারের জন্য সাগরে যাওয়া শুরু করেছেন।
চলতি মাসের ৭ থেকে ২৮ তারিখ টানা ২২ দিন সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল, রোববার মধ্যরাতে তা শেষ হয়েছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ট্রলারগুলো ছাড়তে শুরু করেছে।
সরেজমিন পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকেই বিএফডিসি সংলগ্ন খালে বরফ মিল ঘাটে সারিবদ্ধভাবে বরফ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে ট্রলার।
জেলে ইউসুফ, আবদুল্লাহ, ছগির হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২২ দিন অলস সময় কাটিয়ে আবার সাগরে যাত্রা শুরু করলাম। সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনেই আবার সাগরে যাচ্ছি, আশাকরি আল্লাহর রহমাতে ভালো মাছ পাবো।
এদিকে ট্রলার মালিক মো. ছগির হোসেন বলেন, আমরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ট্রলার সাগরে পাঠাইনি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই গত কয়েক বছর ধরে নিয়ম মেনে চলছি। আশা করছি বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও বেশি মাছ পাওয়া যাবে।
চরলাঠিমারা গ্রামের বেলায়েত হোসেন, মোবারক হোসেন বলেন, অনেক দেনা হইছি। বুক ভরা আশা নিয়া সাগরে যাইতাছি। প্রথম টিপেই দেনা শোধ করতে পারবো বলে আশা করছি।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান মাঝি ও সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মাস্টার বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের হাজারো জেলে মাছ ধরার জন্য সাগরে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সকাল থেকেই সাগরে যেতে শুরু করেছে জেলেরা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানার কারণে প্রতি বছর ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারও সাগরে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
আরএ