কিন্তু পরিবহন শ্রমিকরা তাদের পথে পথে বাধা দিয়েছেন। এমনকি গাজীপুর বড় বাড়িতে তাদের রিকশা থেকে নামিয়ে দিয়েছেন কর্মবিরতি পালন করা শ্রমিকেরা।
রঞ্জু মিয়া বলেন, রোববার সকালে গাজীপুর থেকে রওনা হয়েছি। কোনো বাস পায়নি। কয়েকটি বাস পাইলেও অসুস্থ শিশু নিয়ে উঠতে পারিনি। সকালে রওনা হয়ে রাতে মহাখালীতে আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি। সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালে এসেছি। ৫০ টাকার ভাড়া লেগেছে ৪০০ টাকা।
একই অবস্থা রফিকুল আলম ও সানজিদা দম্পতির। অসুস্থ শিশু রাফসান আলমকে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে শিশু হাসপাতালে এসেছেন তারা। পথে পথে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এই দম্পতি।
মঙ্গলবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে যারা এসেছেন সবাই দুর্ভোগের শিকার। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রোগীর ভিড় নেই। অন্য সময়ের থেকে রোগী কমেছে অর্ধেক।
সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’র কবলে পড়েছে গোটা দেশ। রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবারও পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় গাড়ি না নামানোয় এবং অন্য পরিবহন চলাচলে বাধা দেওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। একপ্রকার স্থবিরতা বিরাজ করছে দেশজুড়ে।
এর ফলেই কমেছে শিশু রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল সূত্র জানায়, অন্য সময় জরুরি বিভাগ ও আউটডোরে গড়ে দৈনিক ৪০০ শিশুকে সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে ১৯০ থেকে ২০০ জনে নেমে এসেছে রোববার। সোমবার রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, ধর্মঘটে শিশু রোগীর সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। ঢাকার বাইরের রোগী হাতে গোনা। শুধু ঢাকার রোগী আসছে। আমরা দেখছি, অ্যাম্বুলেন্সেও মবিল দেওয়া হচ্ছে। এটা কখনও কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এমআইএস/আরআর