সোমবার (২৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের সংশোধনীর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংশোধিত আইনে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের মাত্রা ও ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ কমিশনই ঠিক করবে কোথায় এটি ব্যবহার করতে হবে, পরিমাণ কেমন এবং আদৌ ব্যবহারের প্রয়োজন আছে কিনা তা দেখভালের পূর্ণ ক্ষমতা ও স্বাধীনতা কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
‘চলতি সংসদ অধিবেশন যেহেতু শেষ হয়ে যাচ্ছে তাই এই সংশোধনী পাস হওয়ার সুযোগ নেই। তাই আইনটি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’
ইভিএম-এর অপ-ব্যবহার প্রসঙ্গে আইনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইভিএম-এর অপব্যহারে সর্বোচ্চ সাতবছর ও সর্বনিম্ন তিনবছর সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সাতদিন আগে খেলাপি ঋণ নিয়মিতকরণের যে বিধান ছিলো তা সহজ করে আগের দিন পর্যন্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইভিএম সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে ২৬টি সেফটি মেজারের কথা বলা হয়েছে। এতে মানুষের মনে ইভিএম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে বিভিন্ন উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। ইভিএমে কোনো নেটওয়ার্ক যুক্ত হয় না। টেম্পারিং করারও কোনো সুযোগ থাকবে না।
বাংলাদেশষ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
আরএম/এমএ/