জেলেদের হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে মৎস্য আড়ৎগুলোও। ইলিশ শিকারের প্রথম দিনেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে।
ভোলার তুলাতলী এলাকার জেলে বশির মাঝি বাংলানিউজকে জানান, প্রথমদিন নদীতে ইলিশ শিকারে গিয়ে ৪০টি মাছ পেয়েছি। সেই ইলিশগুলো আড়তে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। মৌসুমের প্রথমে সংকট থাকলেও এখন মনে হচ্ছে, ভালোই ইলিশ পাওয়া যাবে।
ইলিশা এলাকার সিরাজ বলেন, ২২ দিন কষ্টে দিন কেটেছে। কিন্তু প্রথমদিন নদীতে নেমেই ইলিশ পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
একই কথা জানালেন রফিক, আলাউদ্দিন ও সালাউদ্দিনসহ অনেক জেলেই।
ভোলার খাল এলাকার মৎস্য আড়ৎদার মো. আলামিন জানান, নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে, প্রথমদিন এ ঘাট থেকে ১৫ লাখ টাকার ইলিশ কেনা-বেচা হয়েছে। আগের চেয়ে মাছের আমদানি ভালো থাকায় মৎস্যজীবীরা অনেক খুশি। এভাবে চলতে থাকলে অনেকের আর্থিক সংকট কেটে যাবে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করে মৎস্যবিভাগ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে এ ২২ দিনে ৪৩২ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রশাসনের সফল অভিযানের কারণে ৭০ শতাংশ মাছ ডিম ছাড়তে পেরেছে বলে জানিয়েছে মৎস্যবিভাগ।
ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ৯৯ শতাংশ মাছ রক্ষা হয়েছে এবং ৭০ শতাংশ মাছ নিরাপদে ডিম ছেড়েছে। এ বছর এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ইলিশের চাহিদা ১৫/২০ হাজার মেট্রিক টন। এ চাহিদা মিটিয়ে এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশ ঢাকা, বরিশাল ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা যাবে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এসআই