ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০১৯ সালে বেশি সরকারি ছুটি ভোগ করবেন চাকরিজীবীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
২০১৯ সালে বেশি সরকারি ছুটি ভোগ করবেন চাকরিজীবীরা

ঢাকা: চলতি বছর ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে চারদিন বেশি সরকারি ছুটি ভোগ করতে পারবেন চাকরিজীবীরা। তবে কাগজে কলমে ছুটি ২২ দিন। এরমধ্যে সাধারণ ছুটি থাকছে ১৪ দিন এবং নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকছে আট দিন।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ছুটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত বছরের মতো এবছরও সরকারি ছুটি ২২ দিন হলেও এবার বেশি ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

২০১৮ সালে এ ছুটির মধ্যে সাত দিন শুক্র ও শনিবার পড়ায় মোট ১৫ দিন ছুটি ভোগ করা গেছে। এবার শুক্র ও শনিবারের সংখ্যা তিনদিন। সব মিলে ১৯ দিন ছুটি ভোগ করবেন চাকরিজীবীরা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। সাধারণ ছুটির মধ্যে তিন দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) পড়েছে। এ ছাড়া বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে আট দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। কোনো শুক্র ও শনিবার এই ছুটি পড়েনি। ’

এর বাইরে খসড়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জন্য ঐচ্ছিক ছুটিও নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণ ছুটি
সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে- ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, ১৮ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ৩১ মে জুমাতুল বিদা, ৫ জুন ঈদুল ফিতর, ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৩ আগস্ট শুভ জন্মাষ্টমী, ৮ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১০ নভেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

নির্বাহী আদেশে ছুটি
১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২১ এপ্রিল শবে-বরাত, ২ জুন শবে-কদর, ৪ ও ৬ জুন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ১১ ও ১৩ আগস্ট ঈদুল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ১০ সেপ্টেম্বর আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।

ঐচ্ছিক ছুটি
ঐচ্ছিক ছুটির (মুসলিম পর্ব) মধ্যে রয়েছে ৪ এপ্রিল শবে-মেরাজ, ৭ জুন ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন, ১৪ আগস্ট ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন, ২৩ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ৯ ডিসেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ৪ মার্চ শিবরাত্রি ব্রত, ২১ মার্চ দোলযাত্রা, ৩ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ৭ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ১৩ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ২৭ অক্টোবর শ্যামাপূজা।

এছাড়া ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ৬ মার্চ ভস্ম বুধবার, ১৮ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ২০ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।

ঐচ্ছিক ছুটির (বৌদ্ধ পর্ব) মধ্যে রয়েছে- ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ১৬ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ১৩ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ১৩ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
আরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।