স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভবনটির ভেতরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ভবনটির প্রথম তলা ও দুই তলার মেঝে এবং সিঁড়িতে সিগারেটের অসংখ্য খালি প্যাকেট, অগণিত সিগারেটের ফেলে রাখা অংশ, পলিথিনের টুকরো, পানির বোতলের ছিপি, ম্যাচের খোসা, তাস, গ্যাস লাইট ইত্যাদি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টাউনহল ভবন সংলগ্ন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, বরগুনার টাউনহল ভবনটি পরিত্যক্ত।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ও দুপুরে গাঁজার গন্ধে ঘরে টেকা দায়। এতে আমাদের বাচ্চারাও মাদকের নেশার শিকার হচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছলেও তারা কোনো
পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ করেন তারা। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে চাই।
টাউনহল এলাকার বাসিন্দা সোলায়মান মো. আল-আমিন বলেন, টাউনহলের পরিত্যক্ত ভবনের ভেতরে স্থানীয় একটি সংগঠনের মালামাল রাখা ছিলো। কিছুদিন আগে গিয়ে দেখি সেসব মালামাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। সে সময় ওই ভবনের দুইতলা থেকে কিছু লোককে তড়িঘড়ি নামতে দেখে মাদকের আড্ডা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি।
মাদকের কারণে যুবসমাজ আজ ধ্বংসের পথে বলে যোগ করেন তিনি।
বরগুনা পৌরসভার মেয়র শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, টাউনহলের পরিত্যক্ত ভবনে মাদকের আড্ডার খবর আমার কাছেও এসেছে। আমি প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তাছাড়া প্রশাসনিক জটিলতার কারণে টাউনহলের পরিত্যক্ত ভবনটিও ভাঙা হচ্ছে না। প্রশাসনিক সমস্যা সমাধান হলেই ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আমরা ওই ভবনের দিকে খেয়াল রেখে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
আরএ