সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, প্রকাশক দীপন হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, হত্যায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জড়িত।
অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪) সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আব্দুস সবুর (২৩) সাংগঠনিক নাম সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম (২৪) সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের, সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
ডিসি মাসুদ জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, আব্দুস সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ও শেখ আব্দুল্লাহ। গ্রেফতাররা প্রত্যেকেই আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মামলায় এখনো পলাতক রয়েছেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয়তলায় ‘জাগৃতি’ প্রকাশনী অফিসে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপনের ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে পৌনে ৪টার মধ্যে হত্যাকাণ্ড শেষে পালিয়ে যায় ওই ঘটনায় অংশ নেওয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ২ নভেম্বর শ্বশুর অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সহযোগিতায় দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ডিবি দক্ষিণ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
পিএম/জেডএস