সোমবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে উদ্ধার তরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
যাত্রাবাড়ী শেখদি আব্দুল মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মুনা।
মা রুনা বেগম জানান, মুনার এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয় মুনা। এ নিয়েই তার মন খারাপ ছিলো।
স্থানীয়রা জানান, মায়ের অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের হুকে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয় মুনা। দরজা বন্ধ পেয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পরে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) আনা হলে চিকিৎসক মুনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ধানমন্ডি শংকর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের ৩ তলার ফ্লোরে কাজ করছিলো সেনেটারী মিস্ত্রী জনি। কাজের মধ্যে জনি অচেতন হয়ে পরে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে মৃত ঘোষণা করে।
সেনেটারী মিস্ত্রী ঠিকাদার খোকন জানান, বিকেলের দিকে জনিকে কাজে রেখে তিনি নামাজে যান। নামাজ থেকে এসে দেখেন জনি ফ্লোরে উপুর হয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল্লাহ খান জানান, মরদেহ দু’টি মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এএইচ