সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাতে দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে সমাপনী বক্তৃতায় বিরোধী দলীয় নেতা এ আহ্বান জানান। এটিই দশম সংসদের শেষ অধিবেশন।
রওশন এরশাদ বলেন, এই সংসদে জনগণের যতো কথা যতো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি, সমাধানের চেষ্টা করেছি, আমার মনে হয় না অন্য কোনো সংসদে এটা হয়েছে। ঘরের মধ্যে বিরোধকে রাস্তায় টেনে নিয়ে রক্তাত্ত পরিস্থিতি করার যুগ আমরা অনেক আগেই শেষ করেছি।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, নির্বাচন আসন্ন, আসুন আগামী নির্বাচনে সবাই অংশ নিয়ে দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে, সুষ্ঠু সমাজ গড়তে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া জরুরি। তাই আমরা সবাই মিলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবো, এটাই আমার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে যেন অবাধ, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে দেওয়া হয় সেই প্রত্যাশাও রাখছি। নির্বাচন এলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ চিন্তায় পড়ে যান। নির্বাচনের সময় তারা যেন শান্তিতে থাকতে পারেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেই সুযোগ করে দিতে হবে।
রওশন বলেন, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর ব্লু-ইকোনমি তৈরি হয়েছে। এই ব্লু-ইকোনমিকে কাজে লাগাতে হবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বিদায়ী অধিবেশনেও সরকারি চাকরির প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, যদি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হয় তাহলে আমাদের সন্তানরা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পাবে। আমি জানি প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় আছে। এছাড়া কোটা আন্দোলনের পর মুক্তিযোদ্ধা কোট তুলে দেওয়া হয়। আমার মনে হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটা যদি বহাল রাখা হয় তাহলে সবদিক দিয়ে ভালো হবে। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের সূর্য সন্তান। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করবো তিনি যেন এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এসএম/এসকে/জেডএস