ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবন্ধী চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ দুই বিল পাস

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
প্রতিবন্ধী চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ দুই বিল পাস অধিবেশনের ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সংসদের ২৩ তম বা শেষ অধিবেশনের সমাপনী দিনে সোমবার (২৯ অক্টোবর) পাস হয়েছে দু’টি বিল। এর মধ্যে ১৯৭৭ সালে অধ্যাদেশ বলে জারি করা আইনটি রহিত করে প্রথমে পাস হয় ‘কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস আইন- ২০১৮’।

আইনে প্রতারণামূলকভাবে ইনস্টিটিউটের সদস্য দাবি করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার এবং প্রতারণার উদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউটের নাম ব্যবহার করলে ছয় মাসের কারাদণ্ডে ও দুই লাখ টাকা (সংশোধিত আকারে) জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

পড়ুন>>
** 
সংসদে বিদায়ের সুর, এমপিদের মুখে সফলতার জয়গান 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনের সমাপনী দিনে এই বিল দু’টি পাস হয়।

বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।  

এর আগে বিলের ওপর আনীত ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর একটি সংশোধনী গৃহীত হয় অপর সংশোধনী, জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাবসমূহ কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

প্রতিবন্ধী চিকিৎসা ও পুনর্বাসন:

প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যবহারিক জীবন মান উন্নয়ন ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য পাস হয়েছে ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন আইন-২০১৮’ বিল নামে নতুন একটি আইন। এই কাউন্সিল চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, টেকনোলজিস্ট ও পেশাজীবীদের নিবন্ধন, সনদ প্রদান এবং চিকিৎসার মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবে।

সংসদে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

আইনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি করে ৩৩ সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীরা নামের আগে বা পরে কী ধরনের পদবি, চিহ্ন, ডিগ্রি ব্যবহার করবেন। নিবন্ধিতদের জন্য তা কাউন্সিল নির্ধারণ করে দেবে।  

কিন্তু অনিবন্ধিত কেউ এসব পদবি, চিহ্ন, ডিগ্রি ব্যবহার করলে কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নিবন্ধন থাকার পরও বিধি অমান্য করে দেশি-বিদেশি কোনো মিথ্যা উপাধি, ভুয়া ডিগ্রি বা চিহ্ন ব্যবহার করলে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।  

বিলের তফশিলে রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানের শিক্ষাগত যোগ্যতার মান ও বিবরণ এবং ডিগ্রি, ডিপ্লোমা প্রদানকারী ও সাটিফিকেট কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা সন্নিবেশিত হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ হিসেবে বিবৃতিতে বলা হয়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতার শিকার। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী যথা ফিজিওথেরাপিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, সাইকোলজিস্ট, নিউট্রলজিস্ট, স্পেশাল এডুকেটর প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এসব পেশাজীবীদের স্বীকৃতি ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য  সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন আইন ২০১৮ বিল প্রণয়ন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এসএম/এসকে/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।