গত দু'দিন আইন সংস্কারের নামে পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে। তারওপর কালি, পোড়া মবিল মাখিয়ে অপদস্তের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও ঘুরে যাত্রীদের এমন মন্তব্য মিলেছে।
শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় শিক্ষার্থী সাইফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বলেন, সেবাখাতে এমন কেন হবে? কেন জনগণকেই ‘জিম্মি’ করে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী নিজেদের ফায়দা লুটবে। সরকারকে এখনই স্থায়ীভাবে বিষয়টির সমাধান করতে হবে। প্রয়োজন আইন করে তা কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা দরকার।
মতিঝিলের যাত্রীর আওয়াল সরদারের সঙ্গে কথা হয় আগারগাঁওয়ে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পত্রিকায় দেখেছি পরিবহন খাতের নেতারা সব দলের মিলেমিশে একাএকাকার। তারা আলাদা দল করলেও একটি কমিটির নেতা! তাহলে বিষয়টা দাঁড়ালো, এরাই ‘মূলহোতা’। সরকারকে এদেরই আগে ধরতে হবে। তিনি খুব বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, দু’দিনই হেঁটে হেঁটে মতিঝিলে কর্মস্থলে গেছি। আজ গাড়ি পেলেও শঙ্কা তো কাটেনি। এ শঙ্কা কাটারও নয়। কেননা, সরকার এ নিয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। দু’দিন পর আবার ধর্মঘটের কর্মসূচি এলে আবারও একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এ থেকে কে পরিত্রাণ দেবে, এ সংকটের সমাধান বছরের পর বছর ধরে নেই। এটার দায় সরকারগুলো। কোনো সরকারই এই পরিবহন শ্রমিকদের কিছু বলে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
ইইউডি/এএটি