বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়ায় চার নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম।
এ সময় জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সোকো ইসিকাওয়া, সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মারছেলা লিজানা বোবাডিলা, ক্যাম্প ইনচার্জ শামীমুল হক পাভেল, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সুইডেন ও ইউএন-উইমেনের জাতীয় কমিটি এবং সুইডেন সরকারের অর্থায়নে এটি নির্মিত করা হয়েছে। সরকারের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কারিগরি সহায়তায় অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও ইয়ুথ পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) যৌথ অংশীদারিত্বে ইউএন-উইমেন এটি পরিচালনা করবে।
ইউএন-উইমেন বাংলাদেশের যোগাযোগ বিশ্লেষক সাইয়েদা সামারা মরতাদা জানান, স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাসহ নেতৃত্বগুণ বাড়ানোর প্রশিক্ষণ, জীবিকা ও জীবনভিত্তিক কর্মসূচির তথ্যসহ সব ধরনের তথ্য জানতে কেন্দ্রটি ‘ওয়ান স্টপ হাব’ হিসেবে কাজ করবে।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার (কমিউনিকেশন) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউএন-উইমেন নারীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে কাজ করছে।
‘বালুখালী ক্যাম্পেও একটি সেবাকেন্দ্র চালু রয়েছে। ওই কেন্দ্রে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি নারী ও কিশোরী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ’
তিনি জানান, নতুন স্থাপিত সেবাকেন্দ্রে আগের চেয়ে প্রায় তিনগুণ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এএটি