জানা যায়, পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটে ছিলো শিলপাটা তৈরির কারখানা। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের অভিযানে সেখানকার কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এই পাথরের গুড়া নিঃশ্বাসের ভেতর দিয়ে আমাদের শরীরের ঢোকে। আমাদের অনেক সমস্যা হয়। এই কারখানার পাশ দিয়ে উপজেলায় যাওয়ার প্রধান রাস্তা। এই শিলপাটা কারখানার জন্য এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। আমরা এলাকাবাসী বহুবার কারখানাটি এখান থেকে সরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
শিলপাটা কারিগর আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে জানান, এই কাজ করলে আমরা বেশি দিন বাঁচবো না এটা আমরা জেনে শুনেই করছি। কাজ করার সময় পাথরের গুড়ো নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকে পড়ে। এরপর বছর খানেকের মধ্যেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধা মন্দা। আর সব সময় গায়ে জ্বর থাকে। একটা সময় শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আর আগে আমাদের এলাকায় একাজ করে অনেক কারিগরের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ কাজে অল্প সময়ে বেশি টাকা আয় করা যায়। একটি পাটা এবং একটি শিল কেটে তৈরি করলে আমরা ৪০ টাকা পাই। একজন কারিগর দিনে প্রায় ১২ থেকে ১৫টা শিলপাটা তৈরি করে।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. তৌফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পাথরের গুঁড়া ফুসফুসে ঢুকে পড়ে। এতে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি (ফাইব্রোসিস) করে। পরে এটি মারাত্মক অাকার ধারণ করে। যার কোনো চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের এই পেশা থেকে সরিয়ে অন্য কোনো পেশা গ্রহণ করার জন্য আমরা কাজ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এনটি