মাগরিবের নামাজের পর মূল বয়ান শুরু হবে। এটি রাজশাহীর আঞ্চলিক ইজতেমা।
ইজতেমায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। এ ইজতেমায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা জামাতের সংখ্যা প্রায় ২শ’টি। ইজতেমায় অংশ নিতে এরই মধ্যে দেশ-বিদেশি কয়েকটি জামাত রাজশাহীতে পৌঁছেছেন। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ইদগাহে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
রাজশাহী আঞ্চলিক ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য তুষার আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, এবারের ইজতেমায় প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের জায়গা না হলে পদ্মার চরে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ওলামায়ে কেরাম এবং মুরব্বিরা ইজতেমায় ইসলাম ও কোরআনের আলোকে বয়ান করবেন। প্রতিদিন আলোচনা করে মজলিসে বক্তা নির্ধারণ করা হবে। আগামী শনিবার (৩ নভেম্বর) বাদ জোহর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে আঞ্চলিক ইজতেমা।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, তাবলীগ ইজতেমা উপলক্ষে এরই মধ্যে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
থাকবে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। প্রবেশ মুখে থাকবে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সবাইকে তল্লাশি করে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ইজতেমা চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন। সব মিলিয়ে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/