বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাতে এ অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এর পর রাতেই অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওভার ফোনে জানতে পেরেছি রাষ্ট্রপতি আরপিও সংশোধনের অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এখনো গেজেট পায়নি। '
স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আইন থাকলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো আইন ছিল না। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আইনি ভিত্তি পেল।
বেশ কয়েক মাস আগেই আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কয়েকদিন আগে এটি মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। সংসদের মেয়াদ অল্প থাকায় এটি অধ্যাদেশ আকারেই আসল।
আইন না থাকলেও ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি বেশ কয়েক মাস ধরেই এগিয়ে নিচ্ছিল নির্বাচন কমিশন। যার ধারাবাহিকতায় সংসদ নির্বাচনের আগেই আসছে ৮০ হাজার ইভিএম। এ পরিমাণ মেশিন দিয়ে ১০ শতাংশ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা যাবে।
তবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা যদি তিনশ আসনেও ইভিএম ব্যবহার করতে চাই, তবে আমাদের সক্ষমতার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে লোকবল, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা গণমাধ্যমকে বলেছেন, সবার মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
অধ্যাদেশে ইভিএম ব্যবহার ছাড়াও অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ সৃষ্টি, ঋণখেলাপিদের মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের 'সুযোগও রয়েছে।
** ইভিএম ব্যবহারের অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
ইইউডি/আরএ