নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মূলত জেলা প্রশাসকদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিভাগীয় কমিশনারদেরও নিয়োজিত করা হতে পারে।
ইসি সচিবালয়ের তৈরি করা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের খসড়াতেও এ তথ্য রয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে- ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করা হয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করা যেতে পারে।
এদিকে ইসির মাঠ কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন থেকে এই পদে নিয়োজিত হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের যুক্তি সরকারের উপ-সচিব বা তদূর্ধ্ব পদের জনবলকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিধান দেওয়া আছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পর্যাপ্ত উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছে।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তা হচ্ছে একটি জেলার ভোটগ্রহণের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী কর্মকর্তা। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই কার্যকর করার বিধান রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের থেকেও বেশি।
এ বিষয়টি সামনে এনে বিএনপিসহ বেশকিছু দল প্রশাসনের কর্মকর্তার পরিবর্তে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে কাদের নিয়োগ করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তফসিল ঘোষণার জন্য কমিশন বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
ইইউডি/এএ