ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যানার-বিলবোর্ডের নগরী এখন ময়মনসিংহ

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
ব্যানার-বিলবোর্ডের নগরী এখন ময়মনসিংহ শহরে টাঙানো বিলবোর্ড

ময়মনসিংহ: সড়ক বা মহাসড়কজুড়ে এখন তোরণের ছড়াছড়ি। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে পুরো নগরী। প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলিগলিতেও শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার-প্যানাফ্ল্যাক্স আর বিলবোর্ড। 

চেনা সড়কগুলোও যেন ফিরে পেয়েছে ঝকঝকে তকতকে রূপ। পরিপাটিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ময়মনসিংহ পৌরসভার উদ্যোগে নির্মিত নগরীর দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যগুলোও।

পুরোপুরি এক নতুন চেহারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখের সামনে ধরা পড়বে শিক্ষা ও সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহ।  

বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (০২ নভেম্বর) প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর ময়মনসিংহের মাটিতে পা রাখবেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে তার আগমনকে ঘিরে আড়মোড়া ভেঙে চাঙ্গা হয়ে ওঠেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।  

ওইদিন বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে জনসভা। সেখানে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক লোক সমাগমের টার্গেট নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বসে নেই দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও। দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতাকে বরণ করে নিতে। রেকর্ড জনসমাগম ঘিরে ‘ময়মনসিংহের মাটি আ’লীগের ঘাঁটি’ পুরনো এই প্রবাদ আবারো নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চান নেতা-কর্মীরা।  

এর আগে ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে শেষবারের মতো জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় তিনি তারাকান্দা থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলেও আর ময়মনসিংহ সফর করা হয়নি তার।  

চলতি বছরেই তিন দফা ময়মনসিংহ জনসভার দিন-তারিখ নির্ধারণের পরেও স্থগিত করা হয়। শুক্রবারের জনসভা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা যে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে আসেন কিনা? 

জনসভাকে ঘিরে অনিশ্চয়তার ‘কালো মেঘ’ কেটে গেছে। জনসভার জন্য মাঠ ও মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে। আশপাশে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। ইতোমধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এবং দলটির নেতারা জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীন জন্য তৈরি তোরণ।  ছবি: বাংলানিউজদলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জনসভাকে ঘিরে দলীয় প্রধানের দৃষ্টি কাড়তে কয়েক কোটি টাকার তোরণ, ব্যানার আর প্যানা ফ্ল্যাক্স নির্মাণ করেছেন দলটির নেতা-কর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, বিদায়ী মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও ধর্ম মন্ত্রীর ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত। ইতোপূর্বেও দুই দফায় তাদের লাখ লাখ টাকার প্যানাফ্ল্যাক্স নষ্ট হয়েছে।  

ময়মনসিংহ শহরের প্রবেশপথ শিকারিকান্দা থেকে নগরীর মাসকান্দা বাইপাস, চরপাড়া, মাসকান্দা, নতুন বাজার, গাঙ্গিনার পাড়মোড়সহ নগরীর সব সড়কে পাল্লা দিয়ে ব্যানার প্রতিযোগিতা চলছে।

তাদের বাইরে দলীয় দু’একজন সংসদ সদস্য, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা, মহানগর যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্যানাফ্ল্যাক্স, ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণের রাজনীতি করেছেন।  

ময়মনসিংহ সফরকালে ৬৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৮২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ময়মনসিংহ বিভাগ, সিটি করপোরেশন ও শিক্ষাবোর্ডসহ দাবিগুলো এর আগেই প্রধানমন্ত্রী পূরণ করায় এবার হৃদয়ের বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ময়মনসিংহ, এমনটি জানান ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু।  

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনতার ঢল নামবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মীদের দিক নির্দেশনা দেবেন। এ জনসভায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ লক্ষাধিক লোক সমাগমের টার্গেট রয়েছে আমাদের।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮ 
এমএএএম/ইএআর/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ