নিহত ভ্যানচালক রাজু আহমেদ জেলার বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। ভাড়ায় নিয়ে গিয়ে চারঘাটের হাবিবপুরে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
রাজশাহীর চারঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল বারী বাংলানিউজকে জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে চারঘাটের নন্দনগাছি যাওয়ার কথা বলে রাজুকে বাঘার হরিনাপুর থেকে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে হাবিবপুরে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এসময় ভ্যান নিয়ে পালাচ্ছিলেন আল-মামুনসহ অন্যরা।
তবে স্থানীয় গ্রামবাসী চোর সন্দেহে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় মামুনকে ধরে ফেললেও অন্যরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা চারঘাট থানায় খবর দেয়।
পুলিশ গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে মামুন জানান, চালককে খুন করে ভ্যানটি ছিনতাই করা হয়েছে। এরপর সকালে পুলিশ মামুনকে নিয়ে গিয়ে ধানক্ষেতের ভেতর নিহত ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ পরিদর্শক আবদুল বারী বলেন, চারঘাটের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক মামুন জানিয়েছেন, তারা মোট তিনজন ছিলেন। অন্য দু’জনকে আটকের চেষ্টা চলছে। আর রাজশাহী-নাটোরের একের পর এক এসব খুনের ঘটনায় তাদের যোগসূত্র আছে কী না তা খতিয়ে দেখা হবে। ভ্যানচালক রাজু খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক আল-মামুনকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে।
আদালতে মামুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে বলেও জানান চারঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল বারী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এসএস/আরআর