ঘটনার চারদিন পর বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন নবজাতকটির চাচা আকবর আলী। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৬০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর (রোববার) সকালে সাতদিন বয়সী অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। চিকিৎসকের কথা মতো তারা শিশুটিকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। পথে বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজার, দাসেরবাজার ও চান্দগ্রাম বাজারে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখেন আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকরা। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধরও করা হয় এসময়। তাদের বাধার কারণে হাসপাতালে নিতে না পারায় পথেই শিশুটি মারা যায়।
মামলার বাদী আকবর আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাতিজির মৃত্যু শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এজন্য মামলা করতে চারদিন সময় লেগেছে। সারাদেশে ‘কর্মবিরতি’র নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা। রাস্তায় শ্রমিকরা আমাদের আটকে রাখায় চিকিৎসা না পেয়ে আমার ভাতিজি মারা গেছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে করি। তাই সুবিচারের জন্য মামলা করেছি।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা মামলার বাদী জানেন না এবং এখনও পর্যন্ত আমরাও কিছু জানি না। এ ব্যাপারে তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এসআই