শুক্রবার (০২ নভেম্বর) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের গোবরা রেলস্টেশন থেকে ৭৮৩নং টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ছেড়ে এসেছে। ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন হয়ে রাজশাহী পৌঁছাবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন।
>>আরো পড়ুন...২১ বছর পর গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
পাকশী বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ৭৮৩ নং (আপ) টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের গোবরা থেকে ছাড়বে। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছাবে এরপর ১২টা ১০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
পরে রাজশাহী থেকে ৭৮৪ নং (ডাউন) টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে এসে যাবে এবং ৩টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী থেকে গোপালগঞ্জের গোবরার উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে গোবরা পৌঁছাবে রাত ১০টায়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গোপালগঞ্জের গোবরা থেকে বোড়ালী, ছোট বাহিরবাগ, চাপতা, কাশিয়ানী বোয়ালমারী পর্যন্ত শোভন সিটে ৪৫ টাকা, শোভন চেয়ারে ৫০ টাকা প্রথম শ্রেণির চেয়ার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধুখালী জংশন থেকে শোভন সিট ৭৫ টাকা, শোভন চেয়ার ৯০ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ১১৫ টাকা। কালুখালী জংশন থেকে শোভন ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ১২০ টাকা, প্রথম শ্রেণির ১৬০ টাকা, কুমারখালী থেকে শোভন সিট ১২৫ টাকা শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ১৯৫ টাকা, কুষ্টিয়া কোর্ট হতে শোভন সিট ১৩৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৬০ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ২১৫ টাকা, পোড়াদহ জংশন থেকে শোভন সিট ১৪৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৭০ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ২৩০ টাকা, ভেরামারা থেকে শোভন সিট ১৬০ টাকা, শোভন চেয়ার ১৯০ টাকা, প্রথম শ্রেণির সিট ২৫০ টাকা, ঈশ্বরদী জংশন থেকে শোভন সিট ২০৫ টাকা, শোভন চেয়ার ২৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ার সিট ৩২৫ টাকা, রাজশাহী থেকে শোভন সিট ২৫০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৯৫ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানন, দুটি ট্রেনেই ৮টি করে কোচ থাকবে। সর্বমোট ১৬টি কোচ গোবরা-ঈশ্বরদী-রাজশাহী ও রাজশাহী-ঈশ্বরদী-গোবরা রুটে চলাচল করবে। ৭৮৩নং (আপ) ৭৮৪ নং (ডাউন) সপ্তাহে সোমবার বন্ধ থাকবে। এছাড়া বাকি ছয়দিন যথানিয়মে চলাচল করবে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ মানুষ এখন স্বল্প সময়ে, অল্প খরচে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া উত্তর জনপদের বিভিন্ন জেলার ভ্রমণপিপাসু ট্রেন যাত্রীদের বিনোদনের একটি প্রধান বাহন হয়ে যাবে এই ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
এনটি