উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ময়মনসিংহ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ১০১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহ এফএম রেডিও, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল উপজেলা, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে নতুন বিভাগীয় নগরী।
নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা আটপাড়া ও খালিয়াজুড়ি সহ মোট ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
শেরপুর জেলার ৪৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নালিতাবাড়ি উপজেলা পরিষদ ভবন, নালিতাবাড়ি উপজেলায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, একই উপজেলার রাজনগর এলাকায় কৃষক সেবাকেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল কলেজের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস, একই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৮টি ডাগওয়েল নির্মাণ, তারাকান্দা রাবার ড্যাম, উরফা ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, গণপদ্দী ইউনিয়নে এসইএসডিপি ভবন, নকলা-নালিতাবাড়ি ফোরলেন সড়ক, চন্দ্রকোণায় পুলিশ ফাঁড়ি, ধনাকুশা বিদ্যালয়ে চারতলা ভবন, বানেশ্বরদী দিশারী উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, ডেবুয়াচার সোলারচালিত ডাগওয়েল, চন্দ্রকোনা থেকে ডোয়াতলা পর্যন্ত সড়ক, নকলা পৌরসভার শাহরিয়া মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, চরমধুয়া সোলারচালিত ডাগওয়েল, স্থল বন্দর সংলগ্ন সড়ক, রূপনারায়ণকুড়া এইচএসডিপি স্কুল, রূপনারায়ণকুড়া নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়, রূপনারায়ণকুড়া ধারা থেকে পাইকাতলী হয়ে কদমতলী পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়ক, যোগানিয়া ফ্লাড সেন্টার কাম স্কুল নিম্ন মাধ্যমিক ভবন, বালুঘাটা ব্রিজ, বালুঘাটা বাজার থেকে রসুলপুর বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক, পাগলাজানী ও দক্ষিণ নাকশির দুইটি প্রাইমারি স্কুলকে হাইস্কুলে রূপান্তর, বাঘবেড় রাবার ড্যাম, বাঘবেড় চেল্লাখালি নদী খনন, উত্তর রাণীগাঁও থেকে গাজীরখামার মেইন রোড পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক স্থাপন, নালিতাবাড়ি পৌর ভবন ও নাজমুল স্মৃতি কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ।
জামালপুর জেলায় ১৯টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- বকশীগঞ্জ উপজেলার জব্বারগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ ভায়া মাদারের চর সড়কে পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের ওপর ৫৮৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ, জামালপুর-চেচুয়া-মুক্তাগাছা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ (ব্রক্ষপুত্র সেতু এপ্রোচসহ) প্রকল্প ও মেলান্দহ উপজেলায় ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট সহ ১৯টি।
প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসার আগে জনসমুদ্রে পরিণত হয় জনসভাস্থল। সড়কজুড়ে নাচ-গান আর বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে জনসভায় যোগ দিতে থাকে নেতাকর্মীদের স্রোত।
২০১৩ সালের জুনে সর্বশেষ ময়মনসিংহ এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে নৌকার পক্ষে তিনি ভোট চেয়েছিলেন এবং নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি সব রকমের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রাখায় স্থানীয় জনসাধারণও খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
এমএএএম/এসএইচ