শুক্রবার (২ নভেম্বর) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামে অবস্থিত তৌহিদুল হক সুমনের মালিকানাধীন মরিয়ম ডোর অ্যান্ড ফার্নিচার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- মো. রিপন (৩০) এবং তার কর্মচারী মিজান (২৮)।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, পল্লীবিদ্যুতের লোক ছাড়াই টিন লাগানোর জন্য নিজেরা কর্মচারী দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে মরিয়ম ডোর অ্যান্ড ফার্নিচার কারখানার মালিক তৌহিদুল হক সুমন। এ সময় উপর দিয়ে যাওয়া ৩৩ হাজার ভোল্টের সঙ্গে জড়িয়ে ওই দুই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।
বিষয়টি জানতে চাইলে সুমন বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের কোনো ঘটনা নয়। রিপন নামে একজন গ্রিল মিস্ত্রি কন্ট্রাকে আমার কারখানায় টিন লাগানোর কাজ নিয়েছেন। আমাদের কারখানার উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের একটি বৈদ্যুতিক লাইন গেছে। টিন লাগানোর সময় অসাবধনতাবশত ওই তার তাদের শরীরের সঙ্গে স্পর্শ লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা কাজ করতে গেছেন তাদেরও ভুল আছে। আজকে শুক্রবার কাজ করার কথা না থাকলেও আমাদের না জানিয়ে কাজ শুরু করেন। কাজ করার কথা আগে থেকে আমাকে জানানো হলে আমি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে এ বিষয়টি জানিয়ে লাইন বন্ধ রাখতে বলতাম।
ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সামিতি-৩ এর জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ দগ্ধ হওয়ার ঘটনা আমাদের জানা নাই। তবে কেউ যদি বেআইনিভাবে পল্লীবিদ্যুতের লাইন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
আরবি/