জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম. মনসুর আলী ও খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী এ এইচ. এম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর খুনিচক্র কারান্তরালে এই জাতীয় চার নেতাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
এবছর জেলহত্যা দিবসে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
দিনের শুরুতে সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে।
এরপর রয়েছে সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের কালরাতে শহীদ ও কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া-মাহফিল ও মোনাজাত।
রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
বিকাল ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমইউএম/আরআর