বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (অনার্স ৩য় বর্ষ) সব শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বরিশাল বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন তারা।
পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে তারা কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
এসময় তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ফরম ফিলাপে নির্ধারিত ফি’র বাইরে উন্নয়ন ফি, মসজিদ ও পূজা ফি, লাইব্রেরি ফি, অধিভুক্তি ফি, ব্যবস্থাপনা ফি, পরিবহন ফিসহ নানা খাত প্রদর্শন করে সারাবছর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায় ও শিওর ক্যাশে টাকা গ্রহণ পদ্ধতি চালু করেছে। আমরা এ ধরনের সব ফি বন্ধের দাবি জানাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিবছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি ছাড়াও কলেজের নানা উন্নয়নমূলক কাজের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ হাজার টাকার উপরে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার আন্দোলন করেছি কিন্তু তাতে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
এসময় তারা কলেজের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোটের উপরে ২ হাজার টাকা করে কমানো এবং শিওর ক্যাশে টাকা গ্রহণ পদ্ধতি বন্ধের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, নতুন করে কোনো ফি বাড়ানো হয়নি। শিক্ষার্থীরা যে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করছে তা ২০১৬ সালে বাড়ানো হয়েছিলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৩শ’ ৩৫ টাকা এবং কলেজের বেতন ও অন্য ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএস/আরআর