শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে দুদক, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের সমন্বয়ে সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় আব্দুল মাজেদ ও আমিরুলের সদ্য স্থাপন করা ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোবায়ের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের সিনিয়র কেমিস্ট মিজানুর রহমান, দুদক কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক হাফিজুল ইসলাম ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
ইটভাটা মালিক সমিতির সদস্য বাসির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সসহ সব দফতরে নিয়মিত টাকা দেওয়ার বিনিময়েই এসব ইটভাটা স্থাপন করে ইট তৈরি করা হচ্ছে। তবুও মাঝে মধ্যেই প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি করে যাচ্ছে। এর একটা সুষ্ঠু সুরাহা হওয়া জরুরি। ’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নীতিমালা-২০১৩ ও ল্যান্ড জোনিং এ্যাক্ট-২০১০ এর লঙ্ঘন করে কৃষি জমিতে এসব ইটভাটা গড়ে তুলেছে। তাদের কোনো অনুমোদিত লাইসেন্স বা পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেই। আইনে সুনির্দিষ্ট লঙ্ঘন জনিতকারণে এসব ইটভাটা চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদফতর কুষ্টিয়া অঞ্চলের সিনিয়র কেমিস্ট মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা মালিকদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রকৃত অর্থে জেলার বিভিন্ন সেক্টরে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা সঠিকভাবে দেখভাল করা এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরের লোকবল সংকটসহ নানাবিধ সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। সেকারণে পরিবেশ বিধি লঙ্ঘন হলেও কাঙ্ক্ষিত দেখভাল করা সম্ভব হয়ে উঠে না।
দুদক কুষ্টিয়া অফিসের সহকারী পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাংলানিউজেক বলেন, কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিনিয়ত কৃষি জমিতে ইউভাটা স্থাপনে আইনগত নিধিনিষেধ থাকলেও ইটভাটা মালিকরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ম্যানেজ করেই ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত করছে। এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
জিপি