শনিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাঠখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। টেটাবিদ্ধ মিনারা খাতুন ওই গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রকিবের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঠখাল গ্রামের পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির লোকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের কাছুম আলী এবং তার লোকজনের। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েকটি মামলাও চলমান রয়েছে। তবে আব্দুস শহীদের নেতৃত্বাধীন পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির পক্ষে ১১টি গোষ্ঠীর লোক থাকায় এলাকায় তাদের আধিপত্য বেশি।
শনিবার সকালে পূর্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে শান্ত করে। পরবর্তীতে বিকেলে ১১ গোষ্ঠীর লোকজন এসে কাছুম আলীর বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় মিনারা খাতুনের বুকের ডানদিকে টেটাবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এছাড়াও হামলায় আহত ওসমান আলীকে (৩৮) পাঠানো হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আহত মিনারার সাথে আসা স্বজনরা বাংলানিউজকে জানান, তার ৪ ছেলে এবং ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি কোনও ধরণের ঝামেলার সাথে জড়িত না। এরপরও তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া মিনারার স্বামী বিদেশে থাকায় চিকিৎসা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার সন্তানেরা। তারা তাদের মায়ের ওপর বর্বর হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ মোবারক বাংলানিউজকে জানান, দুইপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমজেএফ